ইতালি যাওয়ার উপায় 2023
| |

ইতালি যাওয়ার উপায়। যে কোনো দেশ থেকে

ইতালি যাওয়ার উপায় 2023। আজ আপনাদের এই এপিসোডে দারুন একটি খবর দিতে যাচ্ছি। ইতালি সরকার সারা বিশ্ব থেকে ৪,৫২,০০০ অভিবাসি নিবে।

আর এ সুযোগটি সারা বিশ্ব তথা আমাদের দেশ থেকেও। এখন আপনি ভেবে দেখুন সুযোগটি আপনি হাত ছাড়া করবেন কিনা।

আমাদের ৯০ শতাংশর মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা ইউরোপ যা আমরা প্রতিটি মূহুর্তে অন্তরে বাচিয়ে রাখি। আমরা অনেকেই জানি ইংল্যান্ড বা লন্ডনের পরে ইউরোপের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রবাসী বসবাস করে ইতালিতে।

আর আপনার সেই স্বপ্নের দেশ ইতালির সরকার ঘোষনা দিল চার লক্ষ বায়ান্ন হাজার (৪,৫২,০০০) কর্মসংস্থানের। এটা সত্যিই আমাদের জন্য আনন্দের নয়! যারা একটি বৈধ সুযোগের আশায় ছিলাম।

একটা অনুরোধ দয়া করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশাকরি আপনি সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ। বিশ্বাস করুন তথ্যগুলো একদম সঠিক দেয়ার চেষ্টা করেছি।

ইতালি কারা আবেদন করতে পারবে

অভিজ্ঞ অনভিজ্ঞ সবাই আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি কাজ জানের তাহলে আপনার প্রাধান্য বেশি থাকবে কিন্তু যদি না জানেন সেক্ষেত্রেও আপনার সুযোগ রয়েছে। কারণ তাদের অনভিজ্ঞ পেশায় অনেক লোকবল প্রয়োজন।

এটি একটি সরকারী ঘোষণা যা ইতালি সরকার গত ৭ই জুলাই এর গ্যাজেট প্রকাশ করেছে। তাই এটা নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই শতভাগ লিগ্যাল খবর।

ইতালি কত জন লোক নিবে

ইতালি সরকার ঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চার লক্ষ বায়ান্ন হাজার (৪,৫২,০০০) ভিসা দিবে তার মধ্যে 2022 থেকে 2023 সাল পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার (১,৩৬,০০০) ভিসা দিবে। এবং ইতিমধ্যে বিরাশি হাজার (৮২,০০০) ভিসা দেয়া হয়ে গেছে।

2024 সালের মধ্যে তারা আরও এক লক্ষ পয়ষট্রি হাজার (১,৬৫,০০০) ভিসা দিবে। এবং 2025 সালের মধ্যে তারা আরও এক লক্ষ একান্ন হাজার (১,৫১,০০০) ভিসা দিবে। মোট চার লক্ষ বায়ান্ন হাজার (৪,৫২,০০০) ভিসা দিবে।

তাহলে নিশ্চই বুঝতে পেরে গেছেন এখনও অনেক সুযোগ আছে আমাদের। তাই দেরি না করে এখনই ভিসার জন্য আপনিও আবেদন করুন।

ইতালি কোন কোন খাতে লোক নিবে

দুটি খাতে ইতালিতে ভিসা দিচ্ছে এক সিজনাল ভিসা এবং অপরটি নন সিজনাল ভিসা। আসুন আলোচনা করা যাক ইতালি সিজনাল ও নন সিজনাল ভিসা 2023।

সিজনাল ভিসায় ২টি খাতে প্রাধান্য বেশি। প্রথমটি কৃষি কাজ এবং অপরটি পর্যটন। নিচে সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সিজনাল ভিসা

১। কৃষিঃ কৃষি খাতটির চাহিদা ইতালিতে অনেক বেশি কারন তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার মতো কর্মী সংখ্যা খুবই কম যার ফলে তারা এই খাতে প্রচুর পরিমাণ লোক নিবে।

তবে ইতালির কৃষি কাজগুলো আমাদের দেশের মতো এত পরিশ্রম নেই তাদের ৯০% কৃষি কাজ উন্নত মানের সয়ংক্রিয় মেশিন দ্বারা পরিচালিত হয়। হার্ভেস্টিং, ফল পিকিং, ফল প্যাকিং ইত্যাদি।

২। পর্যটনঃ বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট কিংবা রিসোর্টে প্রচুর পরিমানে কর্মী নিয়োগ চলছে। তাছাড়া ইতালিতে অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে যেখানে বিশ্বের অনেক দেশে থেকে মানুষ ঘুরতে আসে আর সেই সমস্ত পজিশন গুলোতে কর্মী প্রয়োজন।

নন সিজনাল ভিসা

হেবী ট্রাক ড্রাইভারঃ ইতালিতে হেবী ট্রাক ড্রাইভার চাকুরীটি ভালো চাহিদা আছে। আপনার যদি বড় গাড়ি যেমন ট্রাক, কন্টেইনার বা বড় মালবাহী গাড়ি চালানো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন।

বাস ড্রাইভারঃ ইতালিতে এক স্টেট থেকে অন্য স্টেটে মানুষ বাসে ভ্রমন করে। তাছাড়া তাদের অনেক সিটি বাস রয়েছে এবং তারা আরও বাস বৃদ্ধি করছে তাই এই সকল বাসের জন্য দক্ষ বাস ড্রাইভার নিয়োগ চলছে।

কেয়ার গিভারঃ আপনি যদি বাসা বাড়িতে ছোট বাচ্চ বা বৃদ্ধদের দেখাশুনার পেশায় কাজ করতে চান তাহলে এই পদে আবেদন করতে পারেন।

নার্সিংঃ মেডিকেলের বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ হয় যেমন নার্সিং, কেয়ার টেকার, ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার ইত্যাদি পদেও আপনি আবেদন করতে পারবেন।

কন্সট্রাকশনঃ ইতালি একটি উন্নত দেশ আর এই দেশে বড় বড় দালান কোঠা প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে। আর এই নির্মাণ কাজের জন্য প্রচুর কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার প্রয়োজন।

জাহাজ নির্মাণ শিল্পঃ আমরা সবাই বিশ্বের বড় বড় জাহাজের নাম শুনেছি বা দেখেছি যেমন ‍জাহাজ সিম্ফনি, হারমোনী, হিসটেরেসিস অব দ্যা সিস ইত্যাদি।

ইতালিতে এমন অনেক বড় বড় জাহাজ আছে এবং তৈরী হচ্ছে আর এ সকল কাজে প্রতিনিয়ত চাহিদা বেড়ে চলেছে। তাই কর্মী নিয়োগেরও প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে।

মৎস খাতঃ ইতালিতে মৎস খাতের একটি বিশাল ফিল্ড আছে যেখানে কাজের একটা বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মাছ বাজারে বিভিন্ন পদে তারা প্রতিনিয়ত কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ টপিকঃ এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের যারা বাস, ট্রাক এবং অন্যান্য ড্রাইভিং পেশায় আছেন তারা কিন্তু সরাসরি ইতালিতে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে আসতে পারবেন না কারণ ইতালি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের এই চুক্তিটি এখনও কার্যকর হয় নাই।

তবে যারা মিডল ইস্ট বা আরব দেশে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা চাইলে আপনাদের ঐ সমস্ত দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন করে আবেদন করতে পারবেন।

আর একটা ব্যাপার হলো আপনি মূলত দুই প্রকার ভিসায় ইতালি যেতে পারবেন।

সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসা কি

সিজনাল ভিসা কি

এর অর্থ হলো আপনি এই ভিসায় গিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন অর্থাৎ আপনি যেদিন ইতালিতে যাবেন সেদিন থেকে ০৬ মাস পর্যন্ত আপনার কাজের মেয়াদ। এটা আমি একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র।

সিজনাল ভিসার মেয়াদ কত দিন

সিজনাল ভিসার গুলোর মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস থেকে নয় মাস বা সর্বোচ্চ দুই বছর হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে আপনার কোম্পানীর প্রয়োজন অনুসারে। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।

সিজনাল ভিসার মেয়াদ কি বাড়ানো যায়

হ্যা যদি কোম্পানী চায় তাহলে তাদের প্রয়োজন অনুসারে সিজনাল ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবে। এমনকি আপনাকে স্থায়ী ভাবে কাজ করার অনুমতি প্রদান করতে পারবে। অথবা আপনি চাইলে আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করে তাদের নিকট আবেদন করতে পারবেন স্থায়ী হওয়ার জন্য।

নন সিজনাল ভিসা কি

এটি স্থায়ীভাবে কাজ করার অনুমতি প্রদানকৃত একটি ভিসা। এই ভিসায় আসলে আপনি স্থায়ীভাবে ইতালিতে বসবাস করতে পারবেন। নন সিজনাল ভিসাকে স্পনসরশীপ ভিসাও বলা হয়ে থাকে। এই ভিসাটি কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়।

সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসায় অবৈধদের আবেদন

হ্যা যারা অবৈধ প্রবাসী আছেন তারাও এই ঘোষণাকৃত চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার যদি সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসার কোন কাজে অভিজ্ঞতা থাকুক বা না থাকুক তবুও আপনি অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন।

এবং আপনারা যদি এই কাজগুলো পেয়ে যান তাহলে আপনাদের বৈধ হওয়ার দারুন একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। মনে রাখবেন অবৈধরা আগে প্রাধান্য পাবেন।

যারা বাংলাদেশ থেকে অথবা বিশ্বের অন্য কোনো দেশ থেকে যারা বাঙালী আছেন তারাও আবেদন করে যেতে পারবেন। তাই আপনারা সময় নষ্ট না করে এখনই ব্যবস্থা নিন।

ইতালি ভিসায় আবেদন করার নিয়ম

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে কিভাবে আপনারা আবেদন করতে পারবেন। এর সঠিক উত্তরটি হলো আপনি ইতালিতে বসবাস করে এমন কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে যদি আবেদন করতে পারেন তাহলে সেটাই নিরাপদ মাধ্যম।

আপনি নিজেই নিজের কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কারণ ইতালিতে এই সিজনাল এবং নন সিজনাল ভিসার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তি নিজে আবেদন করার কোনো অপশন রাখেনি।

ইংল্যান্ড, কানাডা বা বিশ্বের অন্যান্য ইউরোপ দেশ গুলোতে আপনি চাইলে নিজে নিজে আবেদন করতে পারবেন কিন্তু এই নির্দিষ্ট ভিসার ক্ষেত্রে ইতালিতে ব্যবস্থা রাখেনি। তবে ইতালির কোম্পানী গুলো আপনার জন্য সরকারের আছে আবেদন করতে পারবে।

ইতালিতে প্রতিটি কোম্পানীর নিজস্ব ইমেইল বা এসপিআইডি আছে। কোম্পানী গুলো যখন কোনো কর্মী হায়ার করতে চায় তারা তাদের নিজস্ব ইমেইল বা এসপিআইডি দিয়ে সরকারের যে স্থানীয় প্রসাশনীক অফিস আছে সেখানে গিয়ে আবেদন করতে পারে।

অর্থাৎ আপনার জন্য তারা আবেদন করতে পারবে। সরকারকে তাদের বলতে হবে যে আমার কোম্পানীর জন্য নতুন কিছু সংখ্যক কর্মী লাগবে এবং আমি এই কর্মী গুলো নিতে চাই। তবে সেই আবেদনটি কিন্তু আপনার পাসপোর্ট নির্দিষ্ট করে করতে হবে।

কারণ এটা সরকারের দায়বদ্ধতা না যে সরকার কর্মী খুজে এনে দিবে এটা কোম্পানীর দায়বদ্ধতা তাই কোম্পানী নির্দিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্ট সনাক্ত করে সরকারের কাছে আবেদন করবে। এটা কোম্পানী সিজনাল বা নন সিজনাল ভিসা উভয় ক্ষেত্রেই আবেদন করতে পারে।

সরকার সবকিছু যাচাই করার পর আপনার জন্য কোম্পানীকে ছাড়পত্র দিবে যাকে ইতালির ভাসায় নুলাওয়াস্তা বলা হয়ে থাকে। এই নুলাওয়াস্তা কিন্তু আপনার নামেই ইস্যু হলো সরকারী অফিসে।

তবে মনে রাখাবেন এটা কোনো ওয়ার্ক পারমিট না এটা একটি প্রাথমিক ছাড়পত্র। অনেকে ভুল করে এটাকে মনে করে ওয়ার্ক পারমিট।

যাইহোক এই নুলাওয়াস্তা আপনাকে দেশে পাঠানো হবে এবং কোম্পানী আপনাকে বলে দিবে অন্যান্য আর কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো আপনাকে যোগাড় করতে হবে।

এই সমস্ত ডকুমেন্টস গুলো একত্রিত করে আপনি ইতালি এ্যাম্বাসিতে জমা দিবেন। তারপর তারা আপনার জন্য ভিসা ইসু করবে। তবে মনে রাখবেন এই নুলাওয়াস্তা এবং পাসপোর্টই আপনার সবচেয়ে গুরুত্ব ডকুমেন্টস যা এ্যাম্বাসীতে জমা দেয়া লাগবে।

ভিসা ইসু হয়ে গেলে আপনি ইতালিতে যেতে পারবেন। আপনি ইতালিতে পৌছানো মানে এই নয় যে আপনি ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেছেন। আপনার সাথে সরাসরি আপনার কোম্পানীর চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পরই আপনি ওয়ার্ক পারমিট পাবেন।

যতক্ষন তারা চুক্তি না করছে ততক্ষন পর্যন্ত আপনি অবৈধ হয়ে থাকবেন। তাই আগে গিয়েই আপনি আপনার কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করুন এবং চুক্তি স্বাক্ষর সম্পাদন করুন। তারা আপনার ওয়ার্ক পারমিট করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করবে।

ইতালিতে এজেন্সির মাধ্যমে কি আবেদন করা যাবে

এর উত্তরে আমি বলবো হ্যা করা যাবে যদি সেই এজেন্সির ইতালিতে কোনো বিশ্বস্ত এজেন্সি বা সঠিক কোনো মাধ্যম থাকে। আপনি যেটা ভালো বুঝেন করেন।

কারন ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে আবেদন করবে সরাসরি এমন কোনো লাইসেন্স কারও কাছে নাই তারাও তাদের ওইখানে দালালের মাধ্যমেই আবেদন করবে।

অনেকে ভিসা এবং কাজ দুটিই পাচ্ছে কারণ তারা অনেক টাকা দিচ্ছে এই ভিসার জন্য। এখন আপনার যদি এতো টাকা থাকে তাহলে আপনিও ট্রাই করতে পারেন। তবে লেনদেন বুঝে শুনে করবেন।

তারা বলবে আমরাই একমাত্র মাধ্যম যারা লাইসেন্স পেয়েছি ইতালিতে লোক পাঠানোর জন্য। সবই ভুয়া। এখন আপনিই ভালো জানেন আপনি কিভাবে আবেদনের ব্যবস্থা করবেন।

ইতালি যেতে কত টাকা লাগে

এটা আসলে ডিপেন্ড করে আপনার ভিসার উপর। তবে অফিসিয়ালি সরকার ঘোষিত নিয়মানুযায়ী মাত্র ত্রিশ ইউরো (€ 30) যেটা বাংলাদেশী টাকায় মাত্র তিন হাজার পাচশত টাকা (৩৫০০)।

অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানীগুলো পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারণে আইনজিবী দিয়ে কাজটি করায় যার ফলে তখন খরচ হয়ে যায় প্রায় তিনশত ইউরো এর মতো (€ 300)। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৫,০০০ – ৪০,০০০ টাকার মতো।

আন অফিসিয়ালি টাকার পরিমাণের শেষ নেই। সেটা আট লাখ থেকে বিশ লাখ (৮,০০০০০ – ২০,০০০০০) পর্যন্ত লাগতে পারে।

এই ধরনের সুযোগ গুলো নিয়ে থাকে দালাল কিংবা এজেন্সিগুলো। তারা আপনাকে সব কিছু রেডি করে দিবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ সত্যি আসতে পারছেন আবার কেউ পারছেন না। কেউ বা আবার ইতালি আসার পরে থাকার জায়গা টুকু খুজে পাচ্ছেন না।

এই জন্য অবশ্যই আপনি টাকা লেনদেন করার সময় ডকুমেন্ট রাখবেন। সেটা ভিডিও করে হোক বা স্ট্যাম্প করে হোক। একটি স্ট্রং প্রমাণ অবশ্যই রাখবেন।

কোন কোন দেশ থেকে ইতালি যাওয়া যাবে

বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে আপনি যেতে পারবেন। যেমন Gulf Country বা আরব দেশ, ইউরোপ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, সহ বিশ্বের সকল দেশ থেকে। নিচে কয়েকটি Gulf Country বা আরব দেশের নাম উল্লেখ করা হলো।

  • সৌদি আরব থেকে ইতালি
  • ওমান থেকে ইতালি
  • কুয়েত থেকে ইতালি
  • ইউনাইটেড আরব আমিরাত থেকে ইতালি বা ডুবাই থেকে ইতালি
  • বাহরাইন থেকে ইতালি
  • কাতার থেকে ইতালি

উপরোক্ত Gulf Country বা আরব দেশ সমূহ থেকে আপনি ইতালি যেতে পারবেন বা ঐ দেশের এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তারা আপনার ফাইল জমা করে দিবেন যদি তাদের লাইসেন্স থাকে বা ইতালিতে তাদের কোনো শাখা বা অন্য কোনো উপায় থাকে।

বিশ্বের সকল দেশেই VFS GLOBAL এই এজেন্সি থেকে ফাইল জমা দেয়া যায় আপনারা চাইলে এই লিংকে ক্লিক করে আপনি যে দেশে থাকেন সেই দেশ এবং কোন দেশে যাবেন সেই দেশ সিলেক্ট করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

অথবা ঐ দেশে যদি তাদের এজেন্সির শাখা থাকে তাহলে সরাসরি যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। VFS Global সত্যিই একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান আমার জানা মতে।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় 2023

আপনি যদি সত্যিই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়টি ও এখানে Cover হয়ে গেছে। কারণ আপনি যে কোনো দেশ থেকেই আবেদন করতে পারবেন।

আর ইতিমধ্যে আমি উপরে আলোচনা করেছি যে বাংলাদেশে থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ব্যাপার আছে।

উপসংহার

পরিশেষে বলাবো, ইতালি যাওয়ার এই যে প্রসেস গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম এটাই সত্য। বিশ্বাস করেন এর থেকে বেশি খরচ হয়না। আপনারা দয়াকরে দালালের পাল্লায় পড়ে টাকা পয়সা নষ্ট না করে বিশস্ত কারো মাধ্যমে প্রসেস গুলো করুন।

আমার কিছু কথা

তথ্যগুলি আপনার উপকারে এসে থাকলে দয়াকরে পেজটি শেয়ার করে দিবেন। বিনীত অনুরোধ রইলো। এতে অনেকের উপকার হবে। তারা সঠিক তথ্যের জন্য হয়রানি হবেনা।

আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা নিয়ে লিখি আপনাদের জন্য। চেষ্টা করি শতভাগ সঠিক তথ্য দেয়ার ভুল ত্রুটি সবারই হয়। আমিও মানুষ আমারও ভুল ভ্রান্তি থাকবে দয়া করে সেগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন ইনশাল্লাহ আমরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

সকল ধরনের ভিসার তথ্য পেতে আমার ফেসবুক পেজটি লাইক করে রাখুন।

Facebook page link: Article Motion

আরো পড়ুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *