লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - Lithuania Work Permit Visa
| |

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা – Lithuania Work Permit Visa

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা – বাংলাদেশীদের জন্য আদর্শ দেশ কিনা, বেতন কত, ভিসা খরচ কত, কোন ধরনের কাজ পাওয়া যায় ইত্যাদি আলোচনা করবো।

আমরা সবাই জানি লিথুনিয়া ইউরোপের একটি সেনজেনভুক্ত দেশ যা আয়তনের তুলনায় খব একটা বড় না কিন্তু দেশটি কাজের জন্য উপযুক্ত একটি দেশ।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা

লিথুনিয়ার রাজধানী হলো ভিলনিয়াস এবং দেশটির সরকারি ভাষা ভিলনিয়াস। দেশটির আয়তন প্রায় ৬৫,৩০০ বর্গ কিলোমিটার। দেশটির জিডিপি মাথাপিছু প্রায় $34,596.

দেশটির আয়তনে ছোট হওয়ার কারনে ২০১৭ সালের আদমশুমারি হিসেব অনুযায়ী দেশটিতে প্রায় ২৮,১০,০০০ লক্ষ মানুষের মতো বসবাস করে।

লিথুনিয়াতে বর্তমানে কর্মী সংকট হওয়ায় দেশটিতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যে কারণে অনেকে এখন লিথুনিয়া ভিসার জন্য চেষ্টা করছে।

লিথুনিয়াতে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়

লিথুনিয়ায় আপনি রেস্টুরেন্টের কাজ, ডেলিভারি কাজ, কৃষি কাজ, ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে যা আপনি করতে পারবেন।

তবে শীতের সময়টাতে ডেলিভারি কাজ করাটা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, কারণ এখানে প্রচন্ড শীত পরে। তবে আপনি যদি এই কষ্ট সহ্য করতে পারেন তাহলে ভালো একটি Amount Earn করতে পারবেন।

তাছাড়া এখানে Restaurant কাজ গুলোর ব্যাপক চাহিদা আছে তাই Restaurant কাজে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা কিন্তু খুব সহজে জব পেয়ে যাবেন আশাকরি।

Restaurant কাজগুলো আপনি ঘন্টা প্রতি করতে পারেন আবার মাসিক হিসেবেও করতে পারেন। সেটা নির্ভর করে আপনি যে কোম্পানীতে কাজ করবেন তাদের উপর।

লিথুনিয়াতে বেতন কেমন হয়

লিথুনিয়াতে বেতন কেমন হয় সেটা আপনাকে নির্দিষ্ট করা বলা যাবেনা আর আমার জানা থাকলেও আমি আমার কোনো আর্টিকেলে সেটা নির্দিষ্ট করে বলিনা।

কারণ আমি যেটা বলবো সেটা কখনও Accurate হবেনা, এটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর। তবে মিনিমাম বেতন আপনারা ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা থেকে ১০০,০০০/- (এক লাখ) টাকার মতো পাবেন ইনশাআল্লাহ।

আপনার যদি অভিজ্ঞতার থাকে তাহলে বেতন প্রায় ২০০,০০০/- (দুই লাখ) টাকার মতো হতে পারে। এর থেকে বেশি বেতন লিথুনিয়াতে আমার জানামতে হয়না।

হলেও সেটা খুবই কম মানুষেরই হয়ে থাকে। সেটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরি জবের উপর।

লিথুনিয়া যেতে খরচ কত

লিথুনিয়া একটি সেনজেনভুক্ত দেশ এবং মোটামুটি উন্নত। লিথুনিয়াতে আসতে আপনার খরচ খুব বেশি হবেনা যদি আপনি নিজে নিজে ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা করতে পারেন।

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে লিথুনিয়ার বিভিন্ন কোম্পানীতে আবেদন করেন এবং তাদের কাছে থেকে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী অফার লেটার ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে

আপনার খরচ সর্বোচ্চ ২০০,০০০/- (দুই লাখ) টাকার মতো হতে পারে। যেমন ভিসা খরচ পরে বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) থেকে ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকার মতো।

এর আপনার মেডিকেল খরচ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ইনস্যুরেন্স (যদি চায়), এয়ার টিকেট (অনেক সময় স্পন্সর দিয়ে থাকে) ইত্যাদি।

যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আপনার ৮০০,০০০/- (আট লাখ) থেকে প্রায় ১০,০০,০০০/- (দশ লাখ) টাকার মতো লাগতে পারে।

লিথুনিয়া ভিসা প্রসেসিং সময় কেমন লাগে

তাছাড়া আপনি যদি নিজে সরাসরি স্পন্সরশীপের জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং এ সময় খুব বেশি লাগেনা।

তবে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে আপনি আপনার আবেদনকৃত কোম্পানী থেকে ফিডব্যাক পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ যদি তাদের আপনার সিভি এবং কভার লেটার পছন্দ হয়।

লিথুনিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে

লিথুনিয়া যেতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস লাগে তার মধ্যে কিছু কমন ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

  • পাসপোর্ট কমপক্ষে ১ বছরের মেয়াদ থাকলে ভালো হয় তবে, ২ বছর মেয়াদ থাকলে বেশি ভালো।
  • সদ্যতোলা ২ কপি রঙিন ছবি, সাদা Background এর হতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল হেলথ চেকআপ রিপোর্ট (অবশ্যই ফিট থাকতে হবে)।
  • ভোটার আইডি কার্ড এবং জন্ম সনদপত্র।
  • করোনা ভ্যাকসিনেটেড সনদ
  • কোম্পানী থেকে পাওয়া অফার লেটার (অবশ্যই জমা দিতে হবে)।
  • কিছু পরিমান ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকাটা ভালো।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন খুব সহজ কারণ বিভিন্ন ব্যাংক এখন কিছু পরিমাণ মুনাফার মাধ্যমে আপনার একাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদর্শিত করবে।

উপরে উল্লেখিত সমস্ত ডকুমেন্টসগুলো আপনাকে এ্যাম্বাসিতে জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন, এ্যাম্বাসি ফেস করার সময় Politely কথা বলবেন।

লিথুনিয়াতে কারা আবেদন করতে পারবে

খুব সহজ কথা হলো যারা কাজে দক্ষ তারাই কেবল আবেদন করতে পারবেন। ইউরোপের প্রতিটি দেশেই দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা খুব বেশি।

আপনি যে কোনো একটি কাজে যদি দক্ষ হোন তাহলে আপনি অনলাইনে স্পন্সর ভিসার জন্য আবেদন করলে আপনার জব অফার লেটার পাওয়ার চান্সটা একটু বেশিই থাকে।

তবে দালাল ধরে যেতে চাইলে সেক্ষেত্রে আলাদা কথা কারণ, তারা হয়তো আপনাকে নিয়ে যাবে সেক্ষেত্রে আপনার কাজ পেতে অনেক সময় সাপক্ষো হয়ে যায়।

অনেক সময় এমনও হয় যে, দালাল আপনাকে পৌছে দেয়ার পর আর কোনো খোজ খবরই নিবেনা।

দালাল থেকে দুরে থাকুন প্রয়োজনে ভালো কোনো একটি এজেন্সি খুজে বের করার চেষ্টা করুন। ভালো হয় যদি লিথুনিয়াতে কোনো এজেন্সি মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারেন।

লিথুনিয়া সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে লিথুনিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন।

লিথুনিয়ার একটি জব পোর্টাল ওয়েবসাইট যেখানে আপনারা ভিজিট করে দেখার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া আপানারা লিথুনিয়ার জব খুজে পাবেন Indeed, Seek etc.

সবশেষ কথা

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আপনাদের বিষদ বিবরন দেয়ার চেষ্টা করেছি যদি কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে আপনারা দয়া করে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

লিথুনিয়া নিয়ে আরো আপডেট দিবো এবং প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট বা ক্যাটাগরী অনুসারে জব নিয়ে আর্টিকেল দিবো ইনশাআল্লাহ।

পরবর্তী আর্টিকেলটি চেষ্টা করবো কন্সট্রাকশন জব বা রেস্টুরেন্ট জব নিয়ে ইনফরমেশন দিতে।

Slide Up
x

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *