নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা
|

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা – New Zealand Accredited Work Visa

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আজ আলোচনা করবো যার মেয়াদ হচ্ছে ৫ বছর। এবং বেতন ২০০,০০০/- টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়ার দাড়ুন সুযোগ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। এই ভিসাটি সাধারণত New Zealand Accredited Work Visa নামে পরিচিত।

আপনারা এই ভিসায় নিউজিল্যান্ড গিয়ে দুই বছর কাজ করার পর Permanent Residence (PR) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Permanent Residence (PR) পাওয়ার পর আপনি আপনার পরিবারসহ নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন।

সবথেকে সহজ এরং খুশির ব্যাপার হলো আপনি IELTS ছাড়াই এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং সেখানে ইংরেজীতে ১০০% দক্ষ হওয়ার কোনো শর্ত জুড়ে দেয়া হয়নি।

কোনো প্রকার বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়নি যে বয়সের মানুষই এই Accredited Work Visa এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

একটা বিষয় মাথায় রাখবেন এই ভিসার জন্য নারী পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। এখানে কোনো ধরনের শর্ত জুড়ে দেয় হয়নি।

নিউজিল্যান্ড এর ওয়ার্ক ভিসায় অধিকাংশ কোম্পানীই আপনাকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকে। যার ফলে আপনার বেতন থেকে অতিরিক্ত কোনো খরচ হয়না।

এই ভিসার আবেদন করার পর অতিদ্রুত আপনি তাদের কাছ থেকে ফিরতি জবাব পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময় নিতে পারে এক সপ্তাহের মতো।

তবে আপনার সিভি কাভার লেটার যদি তাদের পছন্দ হয়ে যায় তাহলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনি আপনার ইমেইলে রিপ্লাই পেয়ে যাবেন।

ভিসা প্রসেসিংটি খুবই দ্রুত হয়ে থাকে। যারা ফ্রেসার আছেন তারাও এই ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। কারণ স্কিল এবং আনস্কিল সবাই আবেদন করতে পারবেন।

New Zealand Accredited Work Visa কি এবং এর সুবিধা

New Zealand Accredited Work Visa টি হলো আপনারা নিউজিল্যান্ড সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি ওয়ার্ক ভিসা যে ভিসায় আপনি দুই বছর কাজ করার পর Permanent Residence (PR) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এই ভিসায় বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নেওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড সরকার ভিসাটি চালু করেছে। আপনি নিউজিল্যান্ড এর ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পাবেন।

নিউজিল্যান্ড সরকার সুনির্দিষ্টভাবে Accredited Work Visa নিয়ে আলোচনা করেছে। বিস্তারিত জানার জন্য আপনারা নিউজিল্যান্ড ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।

New Zealand Accredited Work Visa এর মাধ্যমে PR পেলে আপনি পরিবারসহ নিউজিল্যান্ড এ বসবাস করতে পারবেন। এবং যাবতীয় সুবিধা-সমূহ ভোগ করতে পারবেন।

আর এই সমস্ত ভিসা প্রদানকারী কোম্পানীগুলো আপনাকে থাকা-খাওয়া ফ্রি প্রদান করবে। তবে পরিবারের অন্যান্য খরচাদি আপনাকেই বহন করতে হবে।

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা খরচ

New Zealand Accredited Work Visa এর খরচ মাত্র $750 New Zealand Dollar যা বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ৫০,০০০/- থেকে ৫৫,০০০/- টাকার মতো।

ভিসার মেয়াদ সম্পূর্ণ ৫ বছর। অর্থাৎ আপনি এই ভিসায় নিউজিল্যান্ডে ৫ বছর থাকতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে PR নিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন।

Permanent Residence (PR) এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেখানে কমপক্ষে দুই বছর কাজ করতে হবে।

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং এর সময়

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং এর সময় সর্বোচ্চ সময় ৭ সপ্তাহ লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ৮০% কাজ সম্পাদিত হবে। বিস্তারিত জানতে Accredited Employer Work Visa সাইটটি ভিজিট করুন।

নিউজিল্যান্ডের হাই ডিমান্ডিং জবস

বর্তমানে এই জবগুলো নিউজিল্যান্ডে খুবই হাই ডিমান্ডেবল জবস। আপনারা আপনাদের পেশ এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।

এখানে কিছু কিছু জবে আপনাদের অভিজ্ঞতা লাগবেনা যেমনঃ Fruit Picker, Fruit Packer, Farm Worker Associate, Helper, Cleaner etc.

  • Fruit Pickers and Packers
  • Farm Workers
  • Poultry Farmers
  • Teachers and Other Educators
  • Furniture Assembly Workers
  • Construction Helper
  • Styling Saloon Workers
  • Tailors
  • Brick Layers
  • Tiles Fitters
  • Plumbers
  • Carpenters
  • Electricians
  • Welders
  • Web Developer
  • Web Designer
  • Software Developer
  • Software Engineer
  • Game Developer
  • Cyber Security Expert
  • Ware House Workers
  • Ware House Super Visor
  • Super Market Sales Man
  • Super Market Cachier
  • Delivery Drivers
  • Transport Truck Drivers
  • Any Other Machine Line Operator
  • Sales Executive
  • Customer Service Executive
  • Cleaner Job
  • Receptionist and Call Center Executive

ভিসার রিকয়ারমেন্টস

ফিজিক্যাল্লি আপনাকে অবশ্যই ফিট হতে হবে। আপনি যে দেশ থেকে আবেদন করবেন অবশ্যই সে দেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।

যেমন আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন অবশ্যই আপনার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে।

যে কোনো দেশ থেকেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বাংলাদেশে এসে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

আপনার কোনো ধরনের ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই তা প্রমাণ করতে হবে। সেটি প্রমাণের জন্য অবশ্যই আপনার নিকটস্থ থানা থেকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস

New Zealand Accredited Work Visa ভিসায় আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা কাগজপত্রগুলো লাগবে। স্টার চিহ্নিত ডকুমেন্টসগুলো থাকা বাধ্যতামূলক।

  • পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে) *
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স *
  • ৩৫ X ৪৫ মিলি মিটার এর ছবি (ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে) *
  • মেডিকেল রিপোর্ট *
  • নিউজিল্যান্ড ফরম্যাটের সিভি বা ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি *
  • কাভার লেটার *
  • অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট (যদি অভিজ্ঞতা থাকে না থাকলেও চলবে কারণ অনেক জব আছে যেগুলো অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়নি)
  • দক্ষতার সার্টিফিকেট বা কোনো ট্রেনিং যদি করে থাকেন তার সার্টিফিকেট (না থাকলেও চলবে)

এছাড়াও আপনার আরো কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে যা আপনি আবেদন করার পর যদি সিলেক্ট হোন তারাই আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।

Accredited Work Visa আবেদনের ওয়েবসাইট লিংক

নিম্নোক্ত জব পোর্টাল ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনি জব সার্চের মাধ্যমে আপনার পেশা অনুযায়ী খুব সহজেই ইনশাআল্লাহ জব খুজ পেয়ে যাবেন।

কিভাবে এই জবের জন্য আবেদন করবেন

আবেদন প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। আপনারা উপরোক্ত যে ওয়েবসাইট লিংকগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেখানে ক্লিক করুন এবং সাইটে ভিজিট করে একটি জব পোর্টাল ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।

ধরুন আপনি Zora তে প্রবেশ করলেন সেখানে গিয়ে আপনি যে জব করতে আগ্রহী সে জবটি লিখে সার্চ করুন দেখবেন অনেকগুলো জব লিস্ট আপনাকে দেখাচ্ছে।

আপনার পছন্দমত একটি জব লিংকে ক্লিক করুন এবং বিস্তারিত পড়ার পর যদি তাদের দেয়া রিকয়ারমেন্ট গুলো আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে View or apply for job এই বাটনটিতে ক্লিক করুন।

নতুন একটি পেজ লোড হবে এবং সেখানে পূণরায় সব কিছু দেখেশুনে নিশ্চিত করুন এবং Apply Online বাটনটিতে ক্লিক করুন।

জব গুলোতে আবেদন করার জন্য আপনার অবশ্যই সেখানে একটি একাউন্ট থাকা লাগবে। যদি ইতিমধ্যে আপনার একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি আবেদনের সময় লগিং করতে পারবেন।

আর যদি না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবেদনের সময় নতুন একাউন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হবে। এভাবেই আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।

নিউজিল্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড সিভি এবং কাভার লেটার

সিভি এবং কাভার লেটারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবিষয়টি কোনো ভাবে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। কারণ আপনি যদি একটি ভালো সিভি তৈরী করেন এবং সুন্দর একটি কাভার লেটার তৈরী করেন সেক্ষেত্রে আপনার রেসপন্স পাওয়ার চান্সটি খুবই বেশি।

কোন ফরম্যাট ফলো করে সিভি তৈরী করবেন আমি তার একটি ডেমো দেখিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আপনাদের পেশা অনুযায়ী অবশ্যই সিভিটি তৈরী করে নিবেন।

আর কাভার লেটারটি লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখবেন। এই জবের জন্য আপনি কেন যোগ্য, আপনি তাদের কোম্পানীকে কিভাবে বেনীফিটেড করতে পারবেন ইত্যাদি কয়েকটি বিষয় তাদের অল্প কথায় বুঝানোর চেষ্টা করবেন।

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা বেতন কত

এই ভিসাতে আপনি নিউজিল্যান্ড আসার পর যদি ঘন্টা হিসেবে কাজ করেন তাহলে প্রতি ঘন্টায় আপনার পারিশ্রমিক হবে নিউজিল্যান্ড এর প্রায় $30 যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২,০০০/- টাকার মতো।

যদি আপনি প্রতি ৮ ঘন্টা কাজ করেন তাহলে প্রতিদিন আপনার বেতন দাড়ায় বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৬,০০০/- টাকার মতো।

আপনি নিউজিল্যান্ডে সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন কাজ করতে পারবেন। এটা নির্ভর করে কোম্পানীর উপর। সে হিসেব মতে আপনার মাসিক বেতনটি ক্যালকুলেট করে বের করে নিবেন।

সবশেষ কথা

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসার এই পর্বে আপনাদের সাথে যে সমস্ত জবের ক্যাটাগরী নিয়ে আলোচনা করেছি তার যদি কোনো একটি স্কিল আপনার থেকে থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনি আবেদন করুন।

আরো পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ড ডেইরি ফার্ম ওয়ার্ক ভিসা

নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে আরো নতুন জবের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করে রাখুন।

Facebook Page

Slide Up
x

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *